সুন্দরবনের খাঁটি চাকের মধু /Sundarban Honey 1kg

সুন্দরবনের খাঁটি চাকের মধু – প্রকৃতির অনন্য উপহার

সুন্দরবনের গহীনে জন্ম নেয় প্রকৃতির এক অনন্য সৃষ্টি—খাঁটি চাকের মধু। বছরের নানা সময়ে এটি সংগ্রহ করা গেলেও, ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল মাসকে সবচেয়ে উপযুক্ত ধরা হয়। অভিজ্ঞ মৌয়ালরা গভীর অরণ্যের ভেতরে প্রবেশ করে, একেকটি চাক খুঁজে সংগ্রহ করে খাঁটি মধুর সোনালি ফোঁটা।

এই মধুতে মূলত খলিশা, গরান, কেওড়া, গেওয়া ফুলের নির্যাস থাকে, যা স্বাদে এনে দেয় এক অনন্য মাধুর্য। প্রাকৃতিক এই মধু সাধারণত হালকা পাতলা হয় এবং স্বাদে মৃদু ঝাঁঝালো এক অনুভূতি দেয়।

সুন্দরবনের চাকের মধুর বৈশিষ্ট্য:

✔ রঙ – হালকা সোনালি বা অ্যাম্বার কালারের হয়, তবে মৌসুম ও ফুলভেদে কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে।
✔ ঘনত্ব – সাধারণত তুলনামূলকভাবে পাতলা হয়, যা খাঁটি সুন্দরবনের মধুর অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
✔ স্বাদ – খেতে মিষ্টি হলেও একধরনের প্রাকৃতিক ঝাঁঝালো ভাব অনুভূত হয়।
✔ ফেনা হওয়ার ক্ষমতা – সামান্য নড়াচড়া করলেই ফেনা হয়ে যায়, তবে শীতকালে এই প্রবণতা কম দেখা যায়।
✔ জমাট বাঁধার প্রবণতা – আসল সুন্দরবনের চাকের মধু ফ্রিজে রাখলেও জমে না।
✔ পোলেনের উপস্থিতি – হাতে কাটা চাক থেকে সংগৃহীত মধুর ওপরে হালকা হলুদ রঙের পোলেনের আস্তরণ পড়ে, যাকে অনেকে ‘গাদ’ বলে।

সুন্দরবনের মধুর ধরন:

১️⃣ প্রাকৃতিক চাকের মধু – সুন্দরবনের বুনো মৌমাছি (এপিস ডরসাটা) প্রাকৃতিকভাবে ফুলের নেকটার সংগ্রহ করে চাক তৈরি করে। এতে মানুষের কোনো প্রক্রিয়াজাতকরণ নেই, এটি সম্পূর্ণ বিশুদ্ধ ও অরিজিনাল।
২️⃣ চাষের মধু – মৌবক্সে পালিত মৌমাছির (এপিস মেলিফেরা ও এপিস ফ্লোরিয়া) তৈরি মধু, যা প্রাকৃতিক ফুলের পাশাপাশি কখনো কখনো চিনির সরবরাহের মাধ্যমে উৎপন্ন হয়।

কেন আমাদের সুন্দরবনের মধু আলাদা?

আমরা আপনাদের দিচ্ছি ১০০% খাঁটি ও “র” মধু, যা আমাদের নিজস্ব মৌয়ালদের মাধ্যমে গহীন বন থেকে সংগৃহীত। এই মধুতে কোনো ভেজাল নেই এবং এটি সরাসরি প্রকৃতির নিজস্ব স্বাদ ও গুণ বজায় রেখেই আপনাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়।

সুন্দরবনের “র” মধুর pH স্তর:

সুন্দরবনের আসল মধুর pH সাধারণত ২.৮ থেকে ৫.৫ বা ৩.১ থেকে ৬.০ এর মধ্যে থাকে। যদি কোনো মধুর pH ৬-এর বেশি হয়, তাহলে সেটি খাঁটি নয় বলে ধরে নেওয়া যায়।

🍯 প্রকৃতির সেরা উপহার সুন্দরবনের খাঁটি মধু – স্বাস্থ্যকর ও বিশুদ্ধ! 🍯